প্রকাশিত: Fri, Dec 22, 2023 10:42 PM
আপডেট: Sat, Jun 28, 2025 5:07 AM

[১]দাম বেড়েছে সবজি-পেঁয়াজ-আলুর বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস

মাসুদ আলম: [২] বাজার শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। তারপরও সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সবজির দাম। আর দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা ও নতুন আলু কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও মাছ আগের দামে বিক্রি হচ্ছে।  গরুর মাংস ৬৫০ টাকা নির্ধারিত হলেও কিছু দোকান ছাড়া অধিকাংশ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি। শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।  

[৩]  বাজার ঘুরে দেখা গেছে, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, ধুন্দুল ৮০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা। এছাড়া  ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হলেও এখন সে তুলনায় ১০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। গোল বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। 

[৪] পুরাতন দেশি পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, দেশি নতুন পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা  ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে দেশি পুরাতন পেঁয়াজ ১২০ টাকা,  দেশি নতুন পেঁয়াজ ১০০ ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা ছিলো।  পাড়ামহল্লার অধিকাংশ দোকানে দেশি পুরাতন ও ভারতীয় পেঁয়াজ নেই। 

[৫] ১৯০ টাকা দরেই বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। গত সপ্তাহের নতুন আলু ৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে ৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। পুরাতন আলু ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।  ডিম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। 

[৬] সোনালি, সোনালি হাইব্রিড ও লেয়ার মুরগিরও বাজার দাম বেড়ে স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া মাছের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা উঠানামা করেছে। 

[৭] ভাটারা নুরেরচালা খুচরা সবজি বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, বাজারে শীতের সবজি ভরপুর থাকালেও পাইকারী বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। অধিকাংশ সবজি ৬০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। 

[৮] ভাটারা নুরেরচারা ভাই ভাই জেনারেল স্টোরের মালিক জসিম উদ্দিন বলেন, দেশি নতুন  পেঁয়াজ ১২০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ ১৩০ টাকা। দেশি পুরাতন পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় আনা হয়নি। সরবরাহ কম থাকায় ভারতীয় এবং পুরোনো দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। 

[৯] ভাটারা নতুন বাজার সামির উদ্দিন মার্কেটের মাংস ব্যবসায়ী মোশারফ বলেন, যারা হাড্ডি ও চর্বি বেশি দেয় তারা ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি করে। আমরা ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। সম্পাদনা: ইকবাল খান